Blogger Widgets

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১১

রহস্যে ঘেরা পৃথিবীর নানা ইতিহাস………

আমাদের পৃথিবীতে অনেক ইতিহাস রয়েছে যেগুলোর প্রকৃত ব্যাখ্যা আজও পাওয়া সম্ভব হয় নি। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, মৃত সাগরের মত অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া শহরের ঘটনা মানুষকে চিন্তিত এবং সেগুলো অনুসন্ধানে উৎসাহিত করে। হাজার বছরেরও বেশী সময় আগে মিশরের পিরামিড, ব্যবিলনের হারিয়ে যাওয়া শহর, টাইটানিকের মত বিখ্যাত জাহাজ ডুবি, লুকিয়ে থাকা গুপ্তধন, ভ্যাটিক্যান সিটির রহস্যের মত অসংখ্য ঘটনা প্রবাহে পৃথিবীর মানুষ মুগ্ধ। এইরকম কিছু ঘটনা প্রবাহের অনুসন্ধান নিয়েই আজকের টিউনটি সাজানো হয়েছে....

মিশরের পিরামিডঃ

 মিশরীয় পিরামিড সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট স্থাপত্যের একটি। কেননা এটি কখন নির্মান করা হয়েছে এই বিষয়ে শক্তিশালী কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে এটি যেসময় নির্মান করা হয়েছিল তখন স্থাপত্যের বিকাশ তেমন একটা ঘটেনি, তারপরেও কিভাবে এত বড় পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়। পিরামিড নির্মানের পিছনেও অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যেমন পিরামিড নির্মানের উদ্দেশ্য কি এবং কখন এই সুবিশাল পিরামিড নির্মিত হয়েছিল। বেশ কিছুদিন আগে বিঞ্জানীগন এইসব প্রশ্নের কিছু উত্তর খুজে বের করার চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মনে করেন পিরামিড ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্ব আগে নির্মান করা হয়েছিল, তবে অনেক বিজ্ঞানী এটি নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হন এই বলে যে পিরামিড অন্তত ১০,০০০ বছরেরও পুরানো। পিরামিডের সবচেয়ে অশ্চর্যের বিষয়টি হয় তখনকার সময় ভারী পাথর সরানো বা সাজানোর কাজগুলো কিভাবে করা হয়েছিল যেখানে পিরামিডের এক একটি পাথরের ওজন ২-৯ টন। এত উচুতে তারা কিভাবেই বা পাথরগুলো উঠাল এবং বসাল। মরুভূমির মধ্যে এত পাথরই বা তারা কোথায় পেল? এইসব প্রশ্নের উত্তর আজও বিশ্বের মানুষের কাছে এক রহস্য হয়ে রয়েছে যা হয়ত পৃথিবী বিলুপ্ত হবার আগ পর্যন্ত থাকবে।

ডেড সী বা মৃতসাগরঃ


ডেড সী বা মুতসাগর সম্পর্কিত প্রায় ৯০০ টি প্রাচীন তথ্য আবিষ্কার করা হয়েছে ১৯৪৭-১৯৫৬ সালের মধ্যে। এই নথিগুলো থেকে একটি তথ্য পাওয়া যায় যে এই মৃতসাগরটি ১০০ খ্রিষ্টপূর্বের আগে তৈরি হয়েছে। হিব্রু ভাষায় কপারশিটে লিখিত কয়েকটি ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে যেগুলোতে রয়েছে কোথায় কোথায় মহামূল্যবান রত্নভান্ডার ছিল সেগুলোর লিস্ট। অনেকেই বিশ্বাস করে যে ডেড সি বা মৃতসাগর থেকে কিছুটা দূরে ১ বিলিয়নেরও বেশী ডলারের স্বর্ন এ রৌপ্য এখানে লুকিয়ে রয়েছে।

হারিয়ে যাওয়া স্টোন এর তৈরি পেত্রা শহরঃ

  
ধারনা করা হয় খ্রীষ্টপূর্ব ৪ শতাব্দিতে এটি একটি শক্তিশালী রাজ্য ছিল এবং এখানে প্রায় ২০০০০ লোকের দৈনিক সমাগম হত ব্যবসা বানিজ্যের কেন্দ্র হওয়ার জন্য। যারা এই শহরের অধিবাসী ছিলেন তারা এই শহরটিকে ভালবেসে 'নাবাতাইনস' বলে ডাকত। আরবীয় যাযাবরের একটি দল পেত্রা আসেন এবং পেত্রায় অবস্থান করেন এবং শহরের সবকিছু পাথর দিয়ে তৈরি করেন। এই শহরের মধ্যে তখনকার সময়ের তৈরি একটি থিয়েটার, মন্দির, ভোজ হল, প্রায় ৩০০০ পাহাড় কেটে সেখানে পাহাড়ী মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। এই শহরটি কি কারনে পরিত্যাক্ত করা হয়েছে এটি নিয়েই রহস্যের সৃষ্টি। তবে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন হয়ত ৩৬৩ খ্রীষ্টাব্দের প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পে শহরটির ৫০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখনও এই শহরটি দর্শনার্থীদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। এটাকে পৃথিবীর সপ্তাষ্চর্যের একটি ধরা হয়।

 আফগানিস্তানের লুকায়িত ভান্ডারঃ

১৯৭৯ সালের দিকে সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ আফগানিস্তানের একটি ভূমি খনন করে ২০০০০ স্বর্ন মুদ্রা এবং সেগুলো ধারনা করা হয় ২০০০ বছর পুরানো ব্যবহৃত মুদ্রা। বিশেষজ্ঞগন মনে করেন যে সিল্ক রোডের কাছের শহর ব্যাক্টরিয়ার সংস্কৃতি আফগানিস্তান ইতিহাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। কেউই এই গুপ্তধনের ব্যাপারে সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি তবে অনেকেই মনে করেন এই গুপ্তধন আফগানিস্তান যুদ্ধের পূর্বে কেউ লুকিয়ে রাখতে পারে। এই সব গুপ্তধনের বিষয়টি খুবই সতর্কতার সহিত গোপন রাখা হয় কেননা ৮০% ধনরত্ন তালেবানরা লুট করে নিয়ে গেছে বলে ধারনা করা হয়। ব্যাক্টরিয়া রাজ্যের গুপ্তধন থেকে ৬টি বড় ধরনের তালা মারা বাক্স পাওয়া গেছে যেখানে অসংখ্য পরিমান স্বর্ন এবং রৌপ্য পাওয়া গেছে।

নাজির গুপ্তধনঃ

 নাজির গুপ্তধন নিয়ে লোকমুখে অজশ্র গল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো সত্য হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাজি সেনাবাহিনী এডলফ হিটলারের অধীনে যুদ্ধ পরিচালিত করে। অসংখ্য স্বর্ন রৌপ্য, মূল্যবান কারুকাজ, মূল্যবান শিল্পকর্ম তারা সারা ইউরোপ থেকে সংগ্রহ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকান সেনাবাহিনী তাদের কিছু গুপ্তভান্ডারের খোজও পেয়েছিল।
যেসব মূল্যবান রত্ন আমেরিকান সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছিলঃ
  • ৮১৯৮ বার স্বর্ন
  • ৫৫ বাক্স স্বর্ন
  • ১ ব্যাগ প্লাটিনাম
  • ৭১১ ব্যাগ আমেরিকান পঁচিশ ডলারের গোল্ডের টুকরা
  • ২০ টি রৌপ্যের বার, এইরকম আরও ৪০টি বার পাওয়া গিয়েছিল
  • ৬৩ বাক্স সিলভার এবং ৫৫ ব্যাগ সিলভারের প্লেট
  • ২.৭৬ বিলিয়ন রিচসমার্কস 

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১১

মুরগীর বাচ্চার জন্মগ্রহণ এর চিত্র




















মহাকাশের পাঁচ বিস্ময়

ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর- 
                        যেকোনো গ্রহের জন্য একটি মুক্তিবেগ নির্ধারিত থাকে এর ভর ও ব্যাসার্ধের অনুপাতে। পৃথিবী থেকে কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে বেরোতে হলে তার মুক্তিবেগ সেকেন্ডে ১১.২ কিলোমিটারের বেশি হতে হবে। যদি এমন হয়, কোনো গ্রহ বা নক্ষত্রের ভর এত বেশি আর ব্যাসার্ধ এত কম যে তার মুক্তিবেগ আলোর বেগের চেয়ে বেশি, তাহলে কী দাঁড়াবে? এর ফল দাঁড়াবে, গ্রহের পৃষ্ঠ থেকে আলোর কণাও ছুটে বেরোতে পারবে না। আর যদি কোনো কিছু থেকে আলো না আসে তাহলে তাকে আমরা কিভাবে দেখব? এখানেই রহস্যের শুরু।
ব্ল্যাক হোল দেখার কোনো উপায় নেই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা মোটামুটি কতগুলো পদ্ধতি বের করে ফেলেছেন, যা দিয়ে বোঝা যায় আশপাশে ব্ল্যাক হোল আছে কি না। যদি দেখা যায় আশপাশের গ্যাসের মেঘ বা গ্রহ কোনো অন্ধকার অঞ্চলের দিকে সর্পিলাকারে ধাবিত হচ্ছে তাহলে বুঝে নিতে হবে সেখানে একটা ব্ল্যাক হোল আছে। অনেকটা নদীর মোহনায় ঘূর্ণির মতো। আমাদের নিকটতম কৃষ্ণগহ্বরটি (ভি৪৬৪১ এসজিআর) ছিল ১৬০০ আলোকবর্ষ দূরত্বে ধনু নক্ষত্রমণ্ডলীতে। তবে কৃষ্ণগহ্বরের একটা ভালো দিক হলো তার চারদিকে একটা নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধ থাকে, যার বাইরের কাউকে সে টানাটানি করে না। এই অঞ্চলকে বলে ওই কৃষ্ণগহ্বরের ইভেন্ট হরাইজন। ভাগ্য ভালো, আমরা আছি সে অঞ্চলের বাইরে।


নেবুলার সন্তান ও তার বামন বন্ধুরা
আমরা সূর্যকে আজ যেমন দেখছি, সে কি চিরকালই এমন ছিল বা থাকবে? বিজ্ঞান সব সময় পরিবর্তনের কথাই বলে এসেছে। এখন আমরা জানি, সূর্য বা তারকা কিভাবে গঠিত হয় এবং এদের পরিণতি কী? বলা হয়ে থাকে, মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা গ্যাস ঘনীভূত হয়ে সৃষ্টি করে বিশাল মেঘ। সঙ্গে কার্বন আর সিলিকনের ধূলিকণাও থাকে। এসব মিলে তৈরি হয় নেবুলা। অনুমান করা হয়, পাঁচ বিলিয়ন বছর আগে আমাদের সূর্যও একটি নেবুলা ছিল। এতে হাইড্রোজেন থাকে প্রায় ৯৭ শতাংশ আর হিলিয়াম ৩ শতাংশ। এরপর ঘনীভবনের সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ে। যদি যথেষ্ট পরিমাণে তাপশক্তি সঞ্চিত হয় তবে এটিই জন্ম দেয় নক্ষত্রের ভ্রূণ 'প্রোটোস্টার'। আর যদি যথেষ্ট তাপমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় তবে পাওয়া যায় বাদামি বামন। এই প্রোটোস্টার ফিউশন বিক্রিয়ায় শক্তি বিকিরণ করে সূর্যের জন্ম দেয়। কিন্তু এরপর একসময় এর শক্তি শেষ হবে। শেষ হলে কী হবে তা নির্ভর করে তার ভরের ওপর। ভর যদি একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি হয় তবে তা শক্তি বিকিরণের একপর্যায়ে চুপসে সুপারনোভা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে নিউট্রন স্টার বা ব্ল্যাক হোলে রূপান্তরিত হতে পারে। আর যদি ভর ওই নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে কম হয় তবে তা সুপারনোভা হতে পারবে না। বিকাশের একপর্যায়ে তা রক্তিম দৈত্য থেকে প্লানেটারি নেবুলা হয়ে সাদা বামনে রূপ নেবে। আমাদের সূর্য কিন্তু কম ভরের নক্ষত্র, এটা কখনোই সুপারনোভা হবে না।


 সুপারনোভা বিস্ফোরণ
                               সুপারনোভা বিস্ফোরণ একবার দেখার জন্য মিল্কিওয়েবাসীকে (অর্থাৎ আমাদের ছায়াপথে) অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ৫০ বছর। যখন কোনো নক্ষত্র তার সব জ্বালানি শেষ করে ফেলে এবং ভর হয় ১.৪ সৌর ভরের বেশি, তখন তা প্রথমে একটু চুপসে গিয়ে নিজের চাপে নিজেই বিস্ফোরিত হয়। এই বিস্ফোরণের ফলে তার বাইরের আবরণ উড়ে যায় এবং আলোকিত করে বিশাল অংশের ছায়াপথকে। সপ্তাহখানেক ধরেই এ আলো দেখতে পাওয়া যায়। খুব অল্প সময়েই এটি এত শক্তি বিকিরণ করে, যা আমাদের সূর্য তার সারা জীবন ধরে দিয়ে থাকে।
  
ডার্ক ম্যাটার               আঁধারে শক্তি না শক্তির আধার?
                    আধুনিক পদার্থবিদ্যায় মহাবিশ্বের মোট ভর বা শক্তির যে পরিমাপ করা হয় তাতে দৃশ্যমান সব গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, গ্রহাণু,ধূমকেত ধুলাবালির মিলিত ভর দাঁড়ায় মাত্র ৪ শতাংশ। আর বস্তুজগতের দৃশ্য-অদৃশ্য মিলে মোট ভর দাঁড়ায় ২৩ শতাংশ। ফলে বাকি জায়গায় কী আছে_এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যে উত্তর দেওয়া হচ্ছে তা হলো মহাবিশ্বজুড়ে ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব। এই ডার্ক ম্যাটার পরীক্ষণের কোনো উপায় আজও আবিষ্কৃত হয়নি। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত এমন উপায় খুঁজছেন, যার সাহায্যে এর অস্তিত্ব নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

দুই সূর্য এক গ্রহ               ধরুন, সূর্যোদয়ের পর আপনি কাজে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন সময় যদি আরেকটি সূর্য ওঠে তবে আপনার কেমন লাগবে? নাসার সেপ্টেম্বর মাসের বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জ্যোতির্বিজ্ঞানী লরেন্স ডয়েল ও তাঁর দল একটি নতুন আবিষ্কৃত গ্রহের বর্ণনা দিয়েছেন। গ্রহটি আকারে শনি গ্রহের সমান এবং এর অর্ধেক পাথর ও অর্ধেক গ্যাস। গ্রহটি দুটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, যাকে বলা হচ্ছে 'সারকুম্বাইনারি' কক্ষপথ। এটি গ্রহ খোঁজায় নাটকীয় পরিবর্তন ঘটাতে যাচ্ছে, কারণ ওই দূরত্বে অবস্থিত নক্ষত্রগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই 'দুই সূর্য' ব্যবস্থার। 

ব্ল্যাক হোল (জেনে নিন এ অদ্ভুত বিষ্ময় কে)


ছোটবেলায় বেশির ভাগ মানুষ যখন ব্ল্যাক হোলের নাম শুনে , জানার আগ্রহ থাকে অনেক । সায়েন্স ফিকশন সহ বিভিন্ন জায়গায় এটি আজব ভাবে উপস্থাপণ করা হয় ফলে আগ্রহ থেকেই যায় কিন্তু জানা আর হয় না । আমি চেষ্টা করছি সহজ ভাবের বুঝিয়ে দেবার এবং কাহিনী গুলো গল্পের মত করে সহজ করে দেবার।


তো আসুন , আমরা গল্পে ঢুকে যাই।
আমরা কিছু বেসিক জিনিষ সবাই জানি । নিউটন ভাই বলে গিয়েছেন আপেল মাথায় পড়বেই , এটি মনে রাখতে হবে । মাধ্যাকর্ষণ খুব একটা জটিল বিষয় নয় , তাই এটা নিয়ে কথা না বলে মূল গল্পে যাই আসুন ।
আচ্ছা , টেনিস বল টা উপরে ছুড়ে মারলে সেটা নিচে পড়ে তাই না? এখন আমরা সবাই ই জানি (যারা জানেন না এখন জানবেন) ,  টেনিস বলটা যদি পকেটে করে কেউ পৃথিবীর বাইরে নিয়ে যায়  , এরপর উপরে ছুড়ে মারে তখন ও তা হাতে পড়বে । এখানে একটা ব্যাপার অবশ্য আছে যে আশপাশে কোন গ্রহ থাকা যাবে না । কারণ তাহলে ঐ গ্রহের টানে টেনিস বল তো যাবেই, আপনিও চলে যাবেন ।
আর একটি ব্যাপার জানতে হবে , তা হল আমরা কোন কিছু কিভাবে দেখি । এটা একটু জটিল ,তাই মনযোগ দিবেন ।


ধরেন আপনি আয়নার দিকে তাকালেন রাত্রে বেলা , আপনি আপনার চেহারা দেখলেন , কেউ এসে রুমের লাইট নিভিয়ে দিল । এখনও আপনি আয়নার দিকে তাকানো কিন্তু এখন কি আর দেখা যাবে? যাবে না।
এটি ই মূল ব্যপার । তো কি দাঁড়ালো , আলো থাকলে আমরা দেখলাম , আলোর অনুপস্থিতি  , দেখা শেষ । কারণ কোন বস্তু থেকে আলো রিফ্লেক্ট হয়ে আমাদের চোখে আসলেই আমরা দেখি । আমাদের জানা মোটামোটি শেষ । এখন নিচের গল্পটা পড়লেই আপনি স্বচ্ছ্ব ধারণা পেয়ে যাবেন ব্ল্যাক হোল কি ।
করিম কে একদিন ওর বাবা বললো যে যা , বাজারে গিয়ে আলু কিনে আন । ওদের গ্রামে রাত ৮টা বাজে তখন । অনেক রাত । রাস্তায় আলো ও নেই তেমন । করিম ও আগে কখনো ওদিক টায় ওভাবে যেতো না । তো করিম কাঁচা রাস্তায় উঠলো । এদিকে হয়েছে কি , বাজারে নতুন দোকান উঠানোর জন্য ইট সাজিয়ে রাখা হয়েছে রাস্তার মাঝ থেকে একটু দূরে । কি হল বুঝতেই পারছেন  , রাস্তায় আলো ছিল না , করিম ইটের মধ্যে যেয়ে পড়লো । গেল মাথা ফেটে ।
এখন এক কাজ করুন । করিমের জায়গায় স্পেসশিপ আর ইটের জায়গায় ব্ল্যাক হোল বসান । মিললো কিছু? ছোটবেলার গল্প ছিল এই ধারণাটির উপরেই ।
এখন করিম তো রাস্তায় আলো ছিল না দেখে দেখে নি , কিন্তু স্পেসশিপ কেন দেখবে না এটা । স্পেসশিপের তো হেডলাইটের অভাব নেই । আর আমরা জানি স্পেসশিপ কে টেনে নিয়ে যেত । সেটাই বা কিভাবে । আসুন জানি ।
কেমব্রিজের একজন বিজ্ঞানী জন মিচেল এগুলোই ভাবতেন । ভাবতে ভাবতেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন মূল ব্যপারটি ১৭৮৩তিনি শুধু একটা ধারনা দিয়েছিলেন । এর পরে অনেক ধারনা নিয়ে গবেষনা চলে। তবে লেটেসট ধারনা আসে ১৯১৫ সালে আইনস্টাইন এর সাধারন আপেক্ষিকতা আবিষ্কারের পর সালে।

আমরা পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে থাকি মহাকর্ষ বলের জন্য , যদি না থাকতো বল তবে আমরা উড়ে যেতাম । লাফ দিলে আর ফিরতাম না । আর যদি এ বল আরো বেশি হত?
হ্যা , আমরা মাটির নিচে ঢুকে যেতাম  ।
এখন সব গ্রহের মহাকর্ষ তো আর পৃথিবীর মত নয় ।এখানেই ব্ল্যাক হোলের মজা টা ।


সোজা কথায় বললে যেসব গ্রহের মহাকর্ষ টান পাগলা টাইপ , তারাই ব্ল্যাকহোল । এখন আপনি ভাবছেন , টান দিল ভাল কথা কিন্তু আমি দেখবো না কেন ব্ল্যাক হোল ।
কারণ টা খুবই সহজ । এটির আকর্ষণ এমন ই পাগলা টাইপ যে , গ্রহ থেকে আলো কেও বের হতে দেয় না ব্ল্যাকহোল । টেনে ধরে রাখে মাটির কাছে । আর কোন বস্তু থেকে আলো না গেলে তো দেখা যাবে না সেটা । এজন্য দেখাও যায় না ।
নভোচারী না দেখে সোজা ব্ল্যাক হোলের দিকে অথবা ওটার আশপাশের দিকে এগুতে থাকে । যখন ই ওটার টানের মধ্যে পড়ে , টান খেয়ে গ্রহের মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটা । এবং শেষ পর্যন্ত ও সে দেখতে পায় না গ্রহ টাকব্ল্যাক হোল দেখার কোনো উপায় নেই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা মোটামুটি কতগুলো পদ্ধতি বের করে ফেলেছেন, যা দিয়ে বোঝা যায় আশপাশে ব্ল্যাক হোল আছে কি না। যদি দেখা যায় আশপাশের গ্যাসের মেঘ বা গ্রহ কোনো অন্ধকার অঞ্চলের দিকে সর্পিলাকারে ধাবিত হচ্ছে তাহলে বুঝে নিতে হবে সেখানে একটা ব্ল্যাক হোল আছে। অনেকটা নদীর মোহনায় ঘূর্ণির মতো। আমাদের নিকটতম কৃষ্ণগহ্বরটি (ভি৪৬৪১ এসজিআর) ছিল ১৬০০ আলোকবর্ষ দূরত্বে ধনু নক্ষত্রমণ্ডলীতে। তবে কৃষ্ণগহ্বরের একটা ভালো দিক হলো তার চারদিকে একটা নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধ থাকে, যার বাইরের কাউকে সে টানাটানি করে না। । ( Scientists use satellites and telescopes in space to see the high-energy light.)ে ।
এজন্যই এই জিনিসের নাম ব্ল্যাক হোল

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১১

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল পৃথিবীর রহস্যময় স্থানগুলোর অন্যতম। কিন্তু ইতোমধ্যেই যে প্রমাণিত হয়েছে, কিছু প্রকৃতিগত ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য ছাড়া এই ট্রায়াঙ্গল অন্য সব এলাকার মতোই স্বাভাবিক- সেই খবর বোধকরি খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেনি
 এটা ঠিক, পৃথিবীর সবচাইতে অভিশপ্ত স্থানগুলোর মধ্যে বারমুডা টায়াঙ্গল বা ত্রিভুজকে চ্যাম্পিয়ন বলে মনে করা হয়। কারণ এ যাবৎ এখানে যতো রহস্যময় ও কারণহীন দুর্ঘটনা ঘটার কথা শোনা গিয়েছে, অন্য কোথাও এতো বেশি এরকম দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করা হয়। এ জন্যে স্থানীয় অধিবাসীরা এ এলাকাটির নামকরণ করেছে পাপাত্মাদের ত্রিভুজ।
 বারমুডা ত্রিভুজের অবস্থান হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরে। মোট তিনটি প্রান্ত দ্বারা এ অঞ্চলটি সীমাবদ্ধ বলে এর নামকরণ করা হয়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বা বারমুডা ত্রিভুজ। এ অঞ্চলটি যে তিনটি প্রান্ত দ্বারা সীমাবদ্ধ তার এক প্রান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফোরিডা, একপ্রান্তে পুয়ের্টো রিকো এবং অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারমুদা দ্বীপ অবস্থিত। ত্রিভুজাকার এই অঞ্চলটির মোট আয়তন ১১৪ লাখ বর্গ কিলোমিটার বা ৪৪ লাখ বর্গ মাইল। এটি ২৫-৪০ ডিগ্রি উত্তর আংশ এবং ৫৫-৫৮ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
 এ অঞ্চলের রহস্যময়তার একটি দিক হলো, কোনো জাহাজ এই ত্রিভুজ এলাকায় প্রবেশ করার কিছুণের মধ্যেই তা বেতার তরঙ্গ প্রেরণে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং এর ফলে জাহাজটি উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়। একসময় তা দিক নির্ণয় করতে না পেরে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। মার্কিন নেভির সূত্র অনুযায়ী, গত ২০০ বছরে এ এলাকায় কমপে ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ এবং ২০টি বিমান চিরতরে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৯৬৮ সালের মে মাসে হারিয়ে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ডুবোজাহাজের ঘটনাটি সারা বিশ্বে সবচাইতে বেশি আলোড়ন তুলে।
 ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই পাচটি বোমারু বিমান প্রশিক্ষণ চলাকালীন হারিয়ে যায়। হারিয়ে যাবার মুহূর্তে বৈমানিকদের একজন অতি নিম্ন বেতার তরঙ্গ পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার এই বেতার বার্তাতে বারবার একটি কথাই বলা হচ্ছিলো, ‘সামনে প্রচণ্ড কুয়াশা। আমরা কিছু দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় যে যাচ্ছি তাও বুঝতে পারছি না। আমাদেরকে উদ্ধার কর।’ এ বার্তা পাওয়ার পরপরই মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি উদ্ধারকারী টিম এ অঞ্চলের দিকে রওয়ানা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে তারাও নিখোঁজ হয়ে যায়। এভাবে এ এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে মনে করা হয়। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হলো, হারিয়ে যাওয়া এসব যানগুলোর কোনো ধ্বংসাবশেষ পরবর্তীকালে অনেক খুঁজেও পাওয়া যায় নি।
 এর রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন সময়ে বেতার তরঙ্গের অনুপস্থিতির কথা বলা হলেও এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। মার্কিন সামরিক বাহিনী এ এলাকায় বেশ কিছু গবেষণা চালিয়েও তেমন কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। অনেকে মনে করেন, নাবিকদের ভাষ্য অনুযায়ী এ এলাকায় মাঝে মাঝে বেতার তরঙ্গ হয়তো হারিয়ে যায়, তবে তা সবসময়ের জন্য নয়। কারণ পৃথিবীর কোনো এলাকায় স্বাভাবিক বেতার তরঙ্গের প্রবাহ হারিয়ে যেতে বা নিশ্চিহ্ন হতে পারে না। তা হলে সারা পৃথিবীর বেতার সিস্টেমই ধ্বংস হয়ে যাবে।

প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের অনেক রহস্যই এখনো উম্মোচিত করা সম্ভব হয়নি। এমনই অদ্ভুত রহস্যেঘের এক দ্বীপ বাল্ট্রা। বাল্ট্রা মূলত মানববসতিশূন্য একটি দ্বীপ। দণি আমেরিকার ইকুয়েডরের নিকটবর্তী ১৩ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ। আর এই ১৩টি দ্বীপের একটিই হচ্ছে বাল্ট্রা। কিন্তু এখানকার অন্য ১২টি দ্বীপ থেকে বাল্ট্রা একেবারেই আলাদা, অদ্ভুত এবং রহস্যময়

পৃথিবীর প্রথম সৌরশক্তিচালিত স্ট্যাডিয়াম, তাইওয়ান……….

তাইওয়ান  একটি সৌরচালিত স্ট্যাডিয়াম নির্মান করেছে যার ১০০% বিদ্যুতই ফটোভল্টেইক (photovoltaic) প্রযুক্তিতে উৎপাদিত হয় । এটি নকশা করেছেন টয়ো ইটো ।
৫০, ০০০ আসনবিশিষ্ট এ স্ট্যাডিয়ামটি ২০০৯ সালে উদ্বোধন হয়েছে ওয়ার্ন্ডগেইমসকে স্বাগত জানানোর জন্য ।







যাতে এমন কিছু নতুন খেলা থাকবে যা অলিম্পিকেও নেই যেমন-প্যারাসুটিং, টেনপিন, বোলিং, এবং রাগভি সেভেন্স,

গুজব নয় আজব

* বজ্রপাতের সময় আলোর যে বিচ্ছুরণ হয় তার তাপমাত্রা ৯ লাখ ফারেনহাইট। যা সূর্যের উপর পৃষ্ঠের তাপমাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি।
* গরু যখন বুঝতে পারে বৃষ্টি হবে, তখনই মাঠে বসে পড়ে। কারণ কি জানেন? তাদের বসার জন্য অন্তত একটু শুকনো জায়গা রাখতে চেষ্টা করে। এখন বুঝেন এরা কেমন গরু!! :D
* বলেন তো তেলাপোকার প্রিয় খাবার কি ? খামের ও ডাকটিকেটের পেছনের আঠা। সাবধান ওখানে ভাগ বসাতে যেয়েন না।;)
* এককাপ কফিতে ১শ'রও বেশি বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে।
* স্লাগ (slug) এর কয়টি নাক জানেন? মাত্র চারটি। এতো নাক দিয়ে এরা কি করে।!!:P
* ব্যাঙের জিভ থাকে উল্টোভাবে। সব প্রাণীর জিভ থাকে মুখের ভেত থেকে, কিন্তু ব্যাঙের জিভ গজায় মুখের একদম সামনে থেকে।
* আপনি কি জানেন একটি বড় ভূমিকম্পের যে শক্তি তা ২০০ মিলিয়ন টন ডিনামাইটের শক্তির সমান। যা প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের চেয়ে ১০ হাজার গুণ বেশি।:-O
* উই পোকা অন্ধ। তাই বলে এদের দঃখে এদেরকে কাছে ডেকে নিয়ে এসেন না আবার।;)
* বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুল 'রাফ্লেসিয়া' আরনল্ড। কিন্তু বড় ফুল হলে কি হবে,এর গা থেকে বের হয় পঁচা গোস্তের মত বিশ্রী দুর্গন্ধ।=((
* নিউইয়ার্ক গেলে শুনে রাখেন, সেখানে রবিবার আইসক্রিম হাতে হাঁটা নিষেধ। সাবধান!!
* আমাদের ত্বকের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় ৬২৫ টি ঘামগ্রন্থি আছে।
* জার্মানির ড্রেনস্ক হ্রদে অনেক ভাসমান দ্বীপ আছে। একটু বাতাস হলেই দ্বীপের গাছগুলো নৌকার পালের মত কাজ করে, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ভেসে যায়।
*ইমু পাখি আর ক্যাঙ্গারু পেছনের দিকে হাটতে পারেনা । তাতে কি সামনে তো হাঁটতে পারে।
* আপনি জানেন ডলফিন এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। আপনি একটু চেষ্টা করে দেইখেন।:t
* একটি বাদুর কমছেকম ৩০ বছর বেঁচে থাকে।
* প্রতিবছর আমরা কতবার চোখের পলক ফেলি এর হিসেব রাখেন! মাত্র এক কোটি বার।#-S
* মাকড়শার চোখ ৮ টি। চশমা কোন চোখে লাগাবে তা একটা বিষয় বটে।:P